আজাদ হত্যার দুই মূলহোতা ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় আজাদুর রহমান নামে এক যুবককে খুনের মূলহোতা আবুল হাসনাত রাজু ও ওসমানকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) পুলিশ। রোববার রাতে খুলনার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছোরা জব্দ করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত ২৭ মে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় আজাদুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ খুনের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি করা হয়- মো. ওমসান, রাজু, রাজিব ও ফয়সালকে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, মামলা দায়েরের পর তা তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পলাতক আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়; কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকা থেকে হত্যার দুই মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছোরা জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- আজাদের সাথে স্থানীয় নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকার চাঁদা আদায়ের বিষয় নিয়ে গ্রেফতার আবুল হাসনাত রাজু এবং ওসমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মে ভোর সাড়ে ৪টায় আজাদের বাসার গলির সামনে নয়াবাজার রোডে আবুল হাসনাত রাজু এবং ওসমান তাদের অপর সহযোগীদের নিয়ে আজাদকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
২৯ মে রাঙামাটি জেলার কোতোয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে এবং নগরীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-বন্দর ও পশ্চিম) ডিসি মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, খুনের মামলায় দুই আসামিকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।