Uncategorized

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা কেন এত দীর্ঘ

বাংলাদেশেও অর্থমন্ত্রী এবার করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়েছেন। কিন্তু এতে কার কত কর কমবে, তা বুঝতে হলে একজন সাধারণ করদাতাকে দৌড়াতে হবে আয়কর আইনজীবীর কাছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আয়কর আইনজীবীদের আয় বাড়াতে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যাঁরা আয়কর বিভাগে আছেন, তাঁদের এই হিসাব বের করার যোগ্যতা নেই এ কথা বলার সুযোগ নেই। যা নেই তা হচ্ছে স্বচ্ছ হওয়ার আগ্রহ, সাধারণ মানুষকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার ইচ্ছা। আবার ভারতে সব বাজেটের শেষেই সামগ্রিক কর প্রস্তাবের ফলে রাজস্ব আয় কোন খাতে কত বাড়বে, আর কোন খাতে কম কমবে, তারও একটি হিসাব দেওয়া হয়।

এ ক্ষেত্রে পরিষ্কার বোঝা যায়, আগের তুলনায় কোথায় করের ভার কমবে, কোথায় বাড়বে। বাংলাদেশে ২০০১-০২ অর্থবছরের বাজেট পর্যন্ত এ রকম হিসাব দেওয়া হয়েছে। তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। এরপর সাইফুর রহমান আবার অর্থমন্ত্রী হয়ে এভাবে তথ্য দেওয়া বাদ দেন। সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। সুতরাং বলা যায়, দেশে বাজেট বক্তৃতা যত লম্বা হচ্ছে, বাজেটে তথ্য লুকানো বা না দেওয়ার প্রবণতা ততটাই বাড়ছে।

Related Articles

Back to top button