Uncategorized

বিপুল লোকসান জ্বালানি ও খাদ্যে, লাভ টোল আদায়ে

এর আগে সবশেষ ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত এসব সংস্থার লোকসান হয় ২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। তখনো বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কারণে এই লোকসান হয় বলে দেখানো হয়েছিল। নতুন করে লোকসানি প্রতিষ্ঠানের এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে টিসিবি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাত দুই বছর ছাড়া প্রতিবছরই লোকসান করছে। আর বিপিসি মাঝে সাত বছরই ভালো পরিমাণ মুনাফা করেছে।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত এসব সংস্থা ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারকে লভ্যাংশ দিয়েছিল ১ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সার্বিকভাবে লোকসান করলেও ৯৮৩ কোটি টাকা সরকারকে লভ্যাংশ দেয় তারা।

মুনাফা থেকে লোকসানে
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০২ কোটি টাকা নিট মুনাফা করলেও চলতি অর্থবছর ৮৪ কোটি টাকা লোকসান করে। আর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত অর্থবছরে ৮৫৪ কোটি টাকা মুনাফা করলেও চলতি অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ লোকসান করে, যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা।

টিসিবির এই লোকসান শুরু হয় চলতি অর্থবছরে। গত আগস্টে দেশের এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। এর ফলে বেশি দামে পণ্য কিনে কম দামে বিক্রি করতে হয় এই বিপণন সংস্থাকে।

টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আগে শুধু রমজান মাসে ট্রাকের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হতো। চলতি অর্থবছরে এক কোটি পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে খাদ্য বিক্রি শুরু হয়। এসব পণ্য কিনতে যা খরচ হয়, তার তুলনায় অনেক সময় তা প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করা হয়। এর ফলে লোকসান অনেক বেড়েছে। এটা মূলত সরকারি ভর্তুকি।

Related Articles

Back to top button