বরিশাল ও খুলনার নেতাদের বহিষ্কারে বিএনপির চিঠির ভাষা নিয়ে ক্ষোভ

বহিষ্কারের চিঠি পাওয়া নেতারা বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। এমন একটি দলের ভাষা ব্যবহার অত্যন্ত মার্জিত হবে, এটাই সবাই কামনা করে। নির্বাচনমুখী দল হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোথাও কোথাও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছেন। এটা অন্যায় হতে পারে। কিন্তু যাঁকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে, তাঁকে ন্যূনতম সম্মানটুকু জানানোর মতো উদারতা থাকবে না, এটা দুঃখজনক এবং শিষ্টাচারের খেলাপ।
সদ্য বহিষ্কৃত বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আক্ষেপ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহিষ্কৃর হয়েছি তাতে কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু চিঠিটা পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে। যে দলের পেছনে ৪০ বছর শ্রম দিয়েছি, সেই দল আমাকে যে ভাষায় চিঠি দিয়েছে, তা বেদনার। বিদায় দেওয়ার সময় অন্তত এতটুকু কৃতজ্ঞতা দলের মধ্যে থাকা উচিত। একটা গণতান্ত্রিক দলের প্রধান শর্ত হচ্ছে উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক ব্যবহার। কিন্তু সেটার কোনো প্রমাণ এই চিঠিতে নেই।’
বিএনপির দেওয়া এই চিঠির বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম রোববার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দলের প্রধান শর্ত হচ্ছে মানুষের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। কিন্তু এই চিঠিতে তার প্রতিফলন নেই। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ভাষা ব্যবহারে আরও সাবধান ও যত্নশীল হওয়া। দলের একজন নেতা বা সদস্যকে যখন আপনি বহিষ্কার করবেন, তখন সেটাই তাঁর বড় শাস্তি। এ শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন শব্দ ব্যবহার করে তিরস্কার করাটা ধৃষ্টতা।’