মে মাসেও প্রবাসী আয় কমেছে ১০ শতাংশ

জানা গেছে, হুন্ডিতে ডলারের দাম পাওয়া যায় প্রায় ১১০ টাকা। বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রতি ডলারে ব্যাংকগুলো বেশি টাকা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে আয় আনতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পুরো মে মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার, এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ১৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, এপ্রিলে ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছিল ৪ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মে মাসে আসে ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এপ্রিলে মাসে এসেছিল ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে যে আয়, তা এপ্রিলের চেয়ে ৬৭ লাখ ডলার কম। এপ্রিলে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় বাংলাদেশে আসে, যা ফেব্রুয়ারির আয়ের চেয়ে ৪৬ কোটি ডলার বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৬ কোটি ডলার। সেটি আবার জানুয়ারির তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল। জানুয়ারি মাসে প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।