লক্ষ্মীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রুপা আক্তার সামিয়া (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর ইটেরপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তার মা ওইঅটোরিকশায় ছিলেন।
এ ঘটনায় অটোরিকশাচালক মানিক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের কামানখোলা এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. সোহেলের মেয়ে। সে স্থানীয় কামানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মেয়ের মৃত্যুতে মা আমেনা বেগম অচেতন হয়ে পড়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
পরিবার সূত্র জানায়, সামিয়াকে নিয়ে তার মা আমেনা কামানখোলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। ঘটনার সময় সামিয়ার বড় বোন স্বর্ণা আক্তার লামিয়া শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এতে সামিয়া ও তার মাসহ তাদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য অটোরিকশায় করে ইটেরপুল এলাকায় যাচ্ছিলেন। ইটেরপুল এলাকার পৌঁছার আগে সামিয়ার ওড়না অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। এতে সামিয়ার গলায় ফাঁস লাগে। সামিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সামিয়ার বোন স্বর্ণা আক্তার লামিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য মা ও সামিয়া অটোরিকশাতে উঠে। কিন্তু পথেই অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে আমার মা অচেতন হয়ে পড়েছেন। আমার পুরো শরীর কাঁপছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অটোরিকশাচালককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
