Uncategorized

বাজেটে বাস্তবতা কম, স্বস্তির চেয়ে চাপ বেশি

অর্থমন্ত্রী নতুন যে বাজেট দিয়েছেন, তা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য দিয়েছেন, তা ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। অথচ গত এপ্রিল পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে মোট লক্ষ্যের মাত্র ৬১ শতাংশ। আর বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। বিদ্যমান ডলার–সংকট এবং আমদানিতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ থাকায় এই রাজস্ব আদায় নতুন অর্থবছরে কী করে বাড়বে, তা পরিষ্কার নয়।

আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির হাল তো আরও খারাপ, বাস্তবায়নের হার গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন—মাত্র ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আবার নতুন অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ করার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। সুতরাং সুদ পরিশোধের চাপও বাড়বে।

বাজেটের সঙ্গে দেওয়া অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপির তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগের হার ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ডলার–সংকট, আমদানি হ্রাস, উৎপাদন কম ইত্যাদি কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নতুন অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বেড়ে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। এ রকম অলীক প্রত্যাশা অবশ্য আরও আছে। যেমন মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা, যা এখন ৯ শতাংশের বেশি। একই সময়ে অর্থমন্ত্রীর আরেকটি প্রত্যাশা হচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৭ শতাংশ।

Related Articles

Back to top button