চাবি হারানোর অজুহাতে বিদ্যালয়ে ৩ দিন পাঠদান বন্ধ

চাবি হারানোর অজুহাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ১১১নং চৌধুরীকান্দা সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বুধবার দুপুরে লেখাপড়া করতে না পারায় ছাত্রছাত্রীরা প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করেছে। তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রধান শিক্ষিকা স্থানীয় লোক হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে ঠিকমতো স্কুলে আসেন না। টয়লেট সব সময় তালা দিয়ে বন্ধ রাখার কারণে ছেলেমেয়েরা টয়লেট করতে বাড়িতে যেতে হয়। স্কুল মেরামতের যে টাকা আসে সব টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। এছাড়া প্রায়ই প্রধান শিক্ষিকা তার সহকারী শিক্ষিকাদের সঙ্গে ঝগড়া করেন। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়া হযবরল অবস্থায় চলছে।
এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক অফিসার মো. মহসিন রেজা যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার আমি বিষয়টি জানতে পেরে তালা ভেঙে ক্লাস চালু করতে নির্দেশ দেই। তারপরও বুধবার পর্যন্ত রুম বন্ধের কারণে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। আমি সব শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে আজই ব্যবস্থা নেব। এছাড়া ওই স্কুলের পাঁচজন শিক্ষিকার মধ্যে বিরোধ ও চাবি হারানোর কারণে সবাই দায়িত্ব অবহেলা করেছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার আমি বিষয়টি জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ক্লাস বন্ধ করে রাখা এবং চাবি হারানো এটা খুবই দুঃখজনক। সব শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিমউদ্দিন বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। অবশ্যই শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
স্থানীয় অভিভাবক রবিন মুন্সি জানান, প্রধান শিক্ষিকা স্থানীয় বিধায় স্কুলে ঠিকমতো আসে না। গত তিন দিন ধরে ক্লাস বন্ধ। ছাত্রছাত্রীরা মাঠে বসে থেকে বাড়ি যায়। লেখাপড়া মোটেই হয় না। দুই বছর ধরে কোনো ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির টাকাও পায় না।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা লিমা আক্তার জানান, আমার শিক্ষিকারা একজোট হয়ে লাইব্রেরি থেকে তারা চাবি লুকিয়ে রেখেছে। আমি এখন ক্লাস রুম খুলতে পারছি না। চারজন শিক্ষিকাসহ এলাকার অভিভাবকরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।