মাদকাসক্তির চিকিৎসা নিতে গিয়ে নির্যাতনে লাশ হন যুবক

পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, সুজন সাহা মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি বড় ভাই খোকন সাহা ও তাঁর স্ত্রী ঝুমা রানী সাহার সঙ্গে বসবাস করতেন। তাঁরা সুজনকে ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায় তাঁকে সম্ভব মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ওই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের রোগীরা সুযোগ পেলেই ছাদে উঠে পালানোর চেষ্টা করতেন। তখন নিরাময় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন (৪৫) ও কর্মচারী আসিফ হোসেন (৪৫) তাঁদের মারপিট করে নিচে নামাতেন। আশপাশের বাসিন্দারা প্রায়ই সেখান থেকে আর্তচিৎকার শুনতে পেতেন।
সুজনকে ভর্তির পর চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁকেও শারীরিক নির্যাতন করতেন আরিফ ও আসিফ। ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর নির্যাতনে সুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তাঁর স্বজনদের জানানো হয়নি। নিরাময় কেন্দ্রের আরিফ ও আসিফ তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সুজনের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আঘাতজনিত কারণেই সুজনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্ভব মাদকাসক্ত চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি এখন বিচারাধীন। সুজনকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি থানা-পুলিশ ও পিবিআইকে বলা হয়েছে। সুজনের ভাই-বোনদের বিরোধের মধ্যে পড়ে তিনি ফেঁসে গেছেন। বিষয়টি আদালতকে জানাবেন।