Uncategorized

নৌকাডুবিতে স্বজনহারা তিন পরিবারের জীবনসংগ্রাম

একই নৌকাডুবিতে মারা যান ভূপেন নাথ বর্মণ (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রূপালী রানী (৩৬)। এই দম্পতির তিন ছেলে দীপন (১৮), পরিতোষ (১৩) ও দীপু (৪)। এখন এই তিনজনের অভিভাবক দাদা মদন বর্মণ (৮০) ও দাদি লক্ষ্মীবালা (৭০)।

ভূপেনদের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিডোবা-ছত্রশিকারপুর গ্রামে। ভূপেন মানুষের বাড়িতে নানা কাজ করে সংসার চালাতেন। এ ছাড়া কৃষিকাজ করতেন তিনি।

সম্প্রতি এ পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দীপন মাঠে ধান কেটে কাঁধে করে বাড়ি ফিরছেন। তিনি বললেন, সংসারের ভারও এখন তাঁর কাঁধে।

দীপন স্থানীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-ইন্দিরা মহাবিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। তাঁর ছোট ভাই পরিতোষ বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের মাড়েয়া জংলীপীর উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

দীপন বলেন, বাবার আয়ে তাঁদের পড়াশোনার খরচসহ সংসার চলত। এখন তিনি (দীপন) নিজেদের দেড় বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেন। নৌকাডুবির ঘটনার পর বিভিন্ন জন সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। সেসব দিয়ে কোনোমতে তাঁরা চলছেন।
দীপনের দাদি লক্ষ্মীবালা বলেন, অল্প বয়সে ছেলে তিনটা মা-বাবা হারাল। তিনজনের দিকে তাকালে তাঁর বুক ফেটে যায়।

Related Articles

Back to top button