চট্টগ্রামে আবাসিক এলাকায় কারখানা, বিপর্যস্ত জনজীবন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড সরাইপাড়া সাগরিকা বাইলেন আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোটবড় প্রায় ৩০টি শিল্প-কারখানা। এসব কারখানায় দিনরাত লোহা গ্রান্ডিং করার কারণে শব্দদূষণে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নামাজ পড়তে সমস্যা, উচ্চশব্দ দূষণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সিডিএ প্ল্যান, দলিল, নামজারি ও খাজনা দাখিলায় আবাসিক প্লট হলেও প্রভাবশালীরা ক্ষমতার দাপটে আবাসিকে করছে লোহার ডিপো। ওয়াসার পানির আবাসিক মিটারে চলছে বাণিজ্যিক ব্যবহার। এতে সরকারের কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবহার চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আবাসিক প্লটের মালিক সিরাজ দৌলা, শামশু সওদাগর, মোহাম্মদ জাকির, জসিম, মানিক বাবুসহ অনেকে আবাসিক প্লট ভাড়া দিয়ে জাহাজের লোহার ডিপো করেছেন। সেখানে দিনরাত বড় বড় লোহার গ্রান্ডিং ও বড় হাতুড়ি দ্বারা বাঁকা প্লেট সোজা করে। এতে বিকট শব্দে আবাসিক এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে। ধুলাবালি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে।
আবাসিক প্লট ভাড়া নিয়ে বাণিজ্যিক কারখানা পরিচালনা করছেন মেসার্স এসএম এন্টারপ্রাইজ, জেএসএ স্টিল, শফিকুল ইসলাম আয়রন স্টোর, মেসার্স তাকওয়া এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ, ফাতেমা আয়রন মার্ট, মনির ট্রেডার্স, সাগরিকা ট্রেডার্স, মা বাবার দোয়া আয়রন মার্ট, মেসার্স কেবি ট্রেডার্স ও কাইয়ুম এন্টারপ্রাইজ, শাপলা এন্টারপ্রাইজ। এ বিষয়ে লোহার ডিপোর ভাড়াটিয়া মালিকরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বাইলেন আবাসিকের বিল্ডিং মালিকরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ঘরবাড়ি করে বসবাস করছি। পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছি। আবাসিক এলাকায় এভাবে বাণিজ্যিক কারখানায় আমরা বিপর্যস্ত ও আতঙ্কিত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ২ এপ্রিল অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি শিগগিরই অভিযান চালাব।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিন বলেন, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, ভ্যাট ট্যাক্স কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এভাবে প্রতিনিয়ত বাণিজ্যিক কারখানা বেড়েছে। তাদের নিয়ে বেশ কয়েকবার মিটিং করেছি। সমাধান করা যাচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।