Uncategorized

সর্বজনীন পেনশনের ঘোষণা আসছে বাজেটে, বাধ্যতামূলক হবে ২০২৮ সালের পর

যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয়, পেশাগত, ব্যক্তিগত ও আনফান্ডেড—এই চার ধরনের পেনশনব্যবস্থা চালু রয়েছে বলে কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পেনশনেও রয়েছে রাষ্ট্রীয় অবসর ভাতা, সম্পূরক পেনশন ও পেনশন ক্রেডিট নামক তিনটি অংশ। রাষ্ট্রীয় অবসর ভাতার আওতায় যাঁদের বার্ষিক আয় ৯ হাজার ৫০০ পাউন্ডের বেশি, তাঁদের বাধ্যতামূলক চাঁদা দিতে হয় জাতীয় বিমায়। যাঁদের আয় রাষ্ট্র নির্ধারিত নিম্ন আয়সীমার নিচে, তাঁদের দেওয়া হয় সম্পূরক পেনশন। এটা ঐচ্ছিক। আর পেনশন ক্রেডিট হচ্ছে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য, যাঁদের আয় কম।

যুক্তরাজ্যে পেশাগত পেনশন হচ্ছে কর্মীর বেতন থেকে ৩ শতাংশ এবং সরকার বা কোম্পানি থেকে ৫ শতাংশ জমা হওয়ার পদ্ধতি। এতে বিনিয়োগ করে যে মুনাফা হয়, সেই মুনাফার টাকাসহ পেনশন দেওয়া হয়। এ ছাড়া আনফান্ডেড পদ্ধতিতে পেনশন দেওয়া হয় সব সামরিক, সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকদের। আর ব্যক্তিগত পেনশন হচ্ছে বিমা কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত একটি পদ্ধতি।

আর যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তা, চাকরিভিত্তিক, আনফান্ডেড এবং ব্যক্তিগত পেনশন। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তাপদ্ধতির আওতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৯৪ শতাংশ কর্মক্ষম লোক। গ্রাহকের কর ও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা হওয়া অর্থ বিনিয়োগের মুনাফা থেকে এ পেনশন দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে বছরে চারবার ১ হাজার ৪১০ ডলার করে জমা, অর্থাৎ ১০ বছরে ৫৬ হাজার ৬০০ ডলার জমা হলেই পেনশনের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করা যায়। চাকরিভিত্তিক পেনশনের আওতায় কর্মী যা দেবেন, তার সমপরিমাণ দেবে সরকার বা কোম্পানি। এ ছাড়া আনফান্ডেড পদ্ধতি ও ব্যক্তিগত পেনশনব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের মতোই।

অর্থ বিভাগের তৈরি করা কৌশলপত্রে আরও বলা হয়েছে, উন্নত দেশ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বাজেট থেকে সবাইকে পেনশন দেওয়া হয়। জাপান, হংকং, কোরিয়া ও তাইওয়ানের পরিস্থিতিও উন্নত দেশগুলোর মতোই। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম পেনশন সংস্কার করছে। ফিলিপাইন, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও অংশগ্রহণমূলক পেনশন–পদ্ধতি শুরু করেছে।

Related Articles

Back to top button