খেলাপি ঋণ বাড়ছে বেসরকারি ব্যাংকেও

খেলাপি ঋণ কমাবে কে
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণের হারে শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির খেলাপি ঋণ প্রায় ১১ শতাংশ। এরপরই অবস্থান বাংলাদেশের। সবচেয়ে কম খেলাপি ঋণের দেশ নেপাল, ২ শতাংশের কম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ আমদানি ব্যয়, ঋণগ্রহীতাদের নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল তদারকি ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
গত সোমবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নেতারা এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা এককভাবে ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর গত বুধবার এবিবি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় যাঁরা আছেন, তাঁদের বিশেষ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব নিতে হবে। এ জন্য ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কে করবে এ পরিকল্পনা, কে আনবে ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে পরিবর্তন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তাফা কে মুজেরি এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাংকার, পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংক তিন পক্ষকেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। তাদের জন্য খারাপ ও প্রভাবশালী গ্রাহকেরা ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রকৃত খেলাপি ঋণ কত, তা প্রকাশ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে সততা, বিচক্ষণতা ও সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে ব্যাংক খাত তদারকি করতে হবে। দোষীদের শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই খেলাপি ঋণ কমবে।’