১২ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজার আসামি গ্রেফতার

১২ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জিন্নাত আলী। শুক্রবার সাভারের উলাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দানিশকে (১৪) অপহরণের পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জিন্নাত আলীকে (৩৮) গ্রেফতার করে। এতে বাদীর পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জিন্নাত আলীর বাড়ি ধামরাই থানার কুশুরা ইউনিয়নের শাসন (কাশিমনগর) গ্রামের মো. নান্নু মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ২০০৯-১০ সালে জিন্নাত আলী গ্যাং ধামরাই উপজেলায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জিন্নাতসহ তার গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরা ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামের কিশোরকে অপহরণ করে পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে। দানেশের পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় দাবিকৃত মুক্তিপণ দিতে পারেনি। এতে অপহরণকারীরা কিশোর দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দানেশের মা শোভা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ জিন্নাত আলীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ১৮ মাস কারাভোগের পর বিচারাধীন অবস্থায় শর্ত সাপেক্ষে জামিনে বেরিয়ে আসের জিন্নাত। পরে আদালত গত ২০২২ সালে দানিশ অপহরণ ও হত্যা মামলায় জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। এর পর থেকেই জিন্নাত গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন ও রিকশাচালক হিসেবে আত্মগোপনে ছিলেন।