মার্কিন ভিসা নীতির প্রভাব সর্বব্যাপী

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির একটি সর্বব্যাপী প্রভাব আছে বলে ওয়েবিনারে উল্লেখ করেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এই নীতি যদি ২০–৩০ বছর আগে নেওয়া হতো, তাহলে এত প্রভাব থাকত না। কারণ, তখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিস্বার্থ–সংশ্লিষ্ট মানুষের সংখ্যা এই দেশে কম ছিল। এখন অনেক নিচু পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিবারও যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। আর এই মানুষগুলোই নির্বাচনে অনিয়মের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। তাই এই নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনে একেবারেই প্রভাব ফেলবে না, তা নয়। তবে এটি যথেষ্ট কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। এখন দেখতে হবে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সরকার কী এটাকে মোকাবিলা করবে, না সমঝোতা করবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ লাগবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা অনেকে বলছেন। এটা সম্ভব নয়, তা নয়। এই ব্যবস্থা একসময় ছিল। দেশের প্রয়োজনে এটি করা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলোই সুষ্ঠু হয়েছে।
তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিদেশি চাপ কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সাবেক এই কূটনীতিক। তাঁর মতে, গত ২০–৩০ বছরে বিদেশিদের চাপ সব সময় কাজ করেনি। বাংলাদেশে ভারত ও চীনেরও স্বার্থ আছে বলেও উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন। তাঁর মতে, ভারতের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সুবিধাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে ভারত নীতি পরিবর্তন করে ফেলবে বলে মনে হয় না। এখানে যা–ই হোক, ভারত তার স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে। দেশটির সে সামর্থ্য ও গুরুত্ব আছে। পাশাপাশি চীনও তাদের স্বার্থ দেখতে চাইবে। এখানে বৃহৎ শক্তির সংঘাত হলে দেখতে হবে কারা কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে।