Uncategorized

জাল সনদ তৈরিতে ৬০ হাজার টাকা, ভাতা চালু করতে আরও ৬০ হাজার

আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা ব্যক্তিদের একজন বাঘা উপজেলার আয়নাল শেখ। তাঁর ভাষ্য, তিনি ১৯৭১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার কড়ইগাছি ইয়ুথ ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নেন। তিনি যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আগেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২০১৩ সালে তিনি সব নথিপত্রসহ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভাতা পাওয়া শুরু করেন।

কিছুদিন পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে সনদ প্রাপ্তি এবং ভাতা প্রাপ্তির জন্য ২০১৭ সালে আনোয়ার হোসেনকে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারিত হন। 

পিবিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে একজন উপসচিব এ বিষয়ে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বাক্ষর জাল করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

Related Articles

Back to top button