Uncategorized

‘ভুয়া’ এনআইডি কার্ডে বিয়ে, কারাগারে যুবক

চট্টগ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে করে কারাগারে গেলেন এক যুবক। প্রতারক ওই যুবকের নাম বাবর হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বায়েজিদ এলাকার রৌফাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে খুলশী থানার পুলিশ। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খিরাম আঞ্জুমুন্সির বাড়ির মো. আনোয়ারের ছেলে। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানাধীন খরমপাড়া সাদিয়া ভিলায় বসবাস করতেন।

বাবরসহ তার আরও তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী। মামলায় অন্য আসামিরা হচ্ছেন- চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার শান্তিরর হাটের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাজু, নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপোলের হারুনের ছেলে মো. ওমর ফারুক ও নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর ওয়াজিদিয়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে মো. হারুন। এরা এনআইডি জালিয়াতি করে বিয়ে রেজিস্ট্রির ঘটনায় আসামি বাবরের পক্ষের উকিল ও সাক্ষী ছিলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগী নারী চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি বাবরের সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তখন আসামি বাবর নিজেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের লিগ্যাল অফিসার বলে পরিচয় দেন। এরপর একই বছরের ৮ অক্টোবর তাদের বিয়ে হয়।

বিয়ে রেজিস্ট্রির সময় বাবর নিজের এনআইডি জানিয়ে একটা আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করেন। যেখানে লেখা ছিল- ‘মো. বাবর হোসেন, পিতা মৃত আবুল কাসেম, মাতা খতিজা বেগম, থানা ফটিকছড়ি, জেলা চট্টগ্রাম।’ পরে ওই নারী জানতে পারেন তার দেওয়া পিতার নাম, মাতার নাম ও ঠিকানা পুরোটাই ভুয়া। এনআইডিটি জালিয়াতি করে বানানো হয়েছে।

বর্তমানে ভুক্তভোগী নারী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা যুগান্তরকে বলেন, এনআইডি জালিয়াতি ও প্রতারণা করে বিয়ে করার অপরাধে একজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Back to top button