চউক ও ওয়াসা প্রতিনিধির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভাজুড়ে জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলররা। তুলে ধরেছেন নগরবাসীর দুর্ভোগ আর আসন্ন বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শঙ্কার কথা।
বুধবার নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ২৮তম সভায় নগরীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল খাবার পানির সংকট আর বৃষ্টির পানিতে জলজটের শঙ্কা।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং ওয়াসার সমন্বয়হীন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ বলে মন্তব্য করেন কাউন্সিলররা। সরকারি সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় না থাকলে জাতীয় নির্বাচনে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
জবাবে সিডিএ, ওয়াসাসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের গৃহীত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
জলাবদ্ধতার সংকট সমাধানে চউকের প্রতিনিধি নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিব হোসেনকে উদ্দেশ করে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে সিডিএর প্রকল্পে সেনাবাহিনী কাজ করলেও এটি তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব চউকের। বারবার বলার পরও এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন খালে জমা মাটি উত্তোলন না করায় এবার বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার হুমকিতে আছে চট্টগ্রাম নগরী। জনঅসন্তোষের কথা মাথায় রেখে চউকের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া ৩৭নং উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে স্লুইচগেট সংস্কার না করায় বন্যায় শহরে সমুদ্রের পানি ঢোকার ঝুঁকি আছে। এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ওয়াসার প্রতিনিধি মো. নুরুল আমিনের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রাম ওয়াসার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নতুন তৈরি করা রাস্তা কেটে জনভোগান্তি তৈরি করছে ওয়াসা, নষ্ট করছে সরকারের বাজেট আর সৃষ্টি করছে জনঅসন্তোষ।
সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলররা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।