Uncategorized

এক দফার আন্দোলনের প্রস্তুতি বিএনপিতে, খবর নেই ‘যৌথ ঘোষণাপত্রের’

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়তে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের যুক্ততা জরুরি। এর জন্য আন্দোলনে সমাজের নানা অংশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা এবং পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার এক মঞ্চ থেকে ব্যক্ত করতে হবে। সে কাজটি করতে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে এমন একাট্টা ভাব তৈরি করতে হবে, যাতে মানুষের মধ্যে একটা আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ জন্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার পাশাপাশি লিখিত অঙ্গীকারনামা থাকা জরুরি।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, তাঁরা চেয়েছিলেন, কিসের ওপর ভিত্তি করে বিরোধী দলগুলো ঐকমতে৵ পৌঁছাল, আন্দোলনের ভিত্তি কী, নির্বাচনে জয়ী হলে সরকারে গিয়ে কী কী পরিবর্তন আনা হবে, সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, মানবাধিকার এবং অধিকার হরণকারী আইনগুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি যৌথ ঘোষণায় থাকবে। যাতে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। অতীতে সামরিক শাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়েও এ ধরনের যৌথ ঘোষণা (তিনদলীয় রূপরেখা) দেওয়া হয়েছিল।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা সাইফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন পরেও আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা দিতে না পারাটা দুঃখজনক। আমি মনে করি, এটা চলমান আন্দোলনের একটা দুর্বল দিক। এখানে সংকটটা বিএনপির, অন্য কারও নয়। তাদের উচিত ছিল, নিজ দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করে অবস্থানটা পরিষ্কার করা।’
তবে সাইফুল হক এ-ও মনে করেন, সময় শেষ হয়ে যায়নি। যদিও একটি দিন, একটি মুহূর্তও নষ্ট করার সময় আর নেই।

Related Articles

Back to top button