Uncategorized

সন্তান হত্যার মিথ্যা অভিযোগে ২০ বছর জেল, অবশেষে মুক্তি!

অস্ট্রেলিয়ার ‘সবচেয়ে খারাপ নারী সিরিয়াল কিলার’ নামেই পরিচিত ক্যাথলিন ফোলবিগ। শুধু তাই নয়, ২০ বছর জেলে কাটিয়েছেন নিজের সন্তানদের হত্যার অভিযোগে। সেই ভয়ংকর নারীকে এখন ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রমাণ পাওয়ার পর বলা হচ্ছে, তিনি তার সন্তানদের হত্যা করেননি। খবর বিবিসির।

ওই নারীকে ২৫ বছরের জেল দিয়েছিলেন আদালত। রায়ের পর ২০ বছর তার জেলেই কেটে গেছে। যখন জেলে যায় তখন প্রমাণ হয়েছিল, সে তার চার সন্তান, ক্যালেব, প্যাট্রিক, সারা এবং লরাকে ১০ বছরের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করেছে; কিন্তু সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন তারা স্বাভাবিকভাবেই মারা যেতে পারে।

এ ঘটনাকে অস্ট্রেলিয়ার ন্যায়বিচারের সবচেয়ে বড় ‘গর্ভপাত’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ফোলবিগ সবসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। কিন্তু ২০০৩ সালে চার সন্তানের হত্যার জন্য জেলে যেতে হয়। ১৯৮৯ এবং ১৯৯৯ সালের এর মধ্যে প্রতিটি শিশু হঠাৎ মারা যায়।

যাদের বয়স ১৯ দিন থেকে ১৯ মাসের মধ্যে ছিল। তার বিচারে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, সে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল। কিন্তু নতুন তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক টম বাথার্স্টের নেতৃত্বে, প্রসিকিউটররা স্বীকার করেছেন জিন মিউটেশন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ওই শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ডেলি সোমবার ঘোষণা করেছেন, বাথার্স্টের এতে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ ছিল, সত্যেই ফোলবিগ তার প্রতিটি সন্তানকে হত্যা করেছেন কিনা?

ফলস্বরপ তাই প্রমাণিত হলো। নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর ওই নারীকে ক্ষমা করে দেন এবং কারাগার থেকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ডেলি বলেন, ‘এটি তার জন্য ২০ বছরের দীর্ঘ অগ্নিপরীক্ষা ছিল। সে ইতোমধ্যেই যদি জেল থেকে বের না হয়, তবে খুব শীঘ্রই বের হবে… আমি তার শান্তি কামনা করি।’ শিশুদের বাবা ক্রেগ ফোলবিগের প্রতিও তিনি সমবেদনা জানান।

ফোলবিগকে মুক্ত করার জন্য এক বছর ধরে চেষ্টার পর এ রায় আসে। যখন ইমিউনোলজিস্টদের একটি দল জানতে পারে, তার সন্তানদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে জেনেটিক সমস্যা। প্রমাণও পাওয়া গেছে যে, মিসেস ফোলবিগের ছেলেরা একটি ভিন্ন ধরনের জেনেটিক মিউটেশনের সমস্যায় ভুগছিল। যেটি ইঁদুরের হঠাৎ শুরু হওয়া মৃগীরোগের সঙ্গে যুক্ত।

Related Articles

Back to top button