Uncategorized

আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে ফার্মে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে পোলট্রি ফার্মে নিয়ে ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সুজন পাইক (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার যুবক সুজন পাইক উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের জামাল পাইকের ছেলে।

এর আগে শনিবার বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির পিতা কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে আম পেড়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সুজন পাইক ওই শিশুটিকে ছিটাপাড়া গ্রামের শামী শেখের পোলট্রি ফার্মে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ওই শিশুটি বাড়ি ফিরে তার মাকে জানালে তিনি সুজন পাইকের মামা শামী শেখকে জানান। এরপর সুজন পাইকের মামা শামী শেখ ও তার আত্মীয় স্বজনের বাধার মুখে ওই শিশুটির পরিবার থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। এমনকি অসুস্থ ওই শিশুটির পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসাও করাতে পারেনি।

শিশুটির পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী দুই কন্যাশিশুকে নিয়ে ওয়াপদার হাটের পশ্চিম পাশে সরওয়ার শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকে। কয়েক দিন আগে পূর্বপাড়া গ্রামের জামাল পাইকের ছেলে সুজন পাইক আমার ছয় বছরের শিশু কন্যাকে আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে তার মামা শামী শেখের পোলট্রি ফার্মে নিয়ে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি। আমি বাড়িতে না থাকার কারণে আমার অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে দেরি হয়েছে। সুজন পাইকের আত্মীয়স্বজন আমাকে মামলা করতে বাধা দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার আমার কন্যাশিশুটি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে ভর্তি করি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় শনিবার আমি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

এ বিষয়ে সুজন পাইকের বাবা জামাল পাইকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে বলে জানান।

কোটালীপাড়া থানার এসআই মাসুম লাভলু বলেন, শিশুটির পিতার মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত যুবক সুজন পাইককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Back to top button