গোপালগঞ্জে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জালটাকা তৈরির কারখানা থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও ৭ লাখ ৪১ হাজার জালটাকা জব্দ করা হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভার বেদগ্রাম দক্ষিণপাড়ার সৌদি প্রবাসী হায়াত আলি দাড়িয়ার বাড়ির চতুর্থতলায় অভিযান চালান গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও ৭ লাখ ৪১ হাজার জালটাকাসহ কামরুল ইসলাম (৩২) ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার কামরুল ইসলাম বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার লাকুরতলা গ্রামে আব্দুস সালামের ছেলে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মুহাইমিনুল ইসলাম জানান, বেদগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী হায়াত আলীর বাড়ি ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জালটাকা তৈরি করছিলেন ওই দম্পতি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জালটাকা প্রিন্ট করা অবস্থায় ওই দম্পতিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ওই দম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের অভিযানের আগে জাল চক্রের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে জালটাকা সরবরাহ কাজে ব্যস্ত ছিল।
তিনি বলেন, অভিযান চলাকালে একটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, কেমিক্যাল, জালটাকা ছাপানোর বিশেষ কাগজ, কাঠের তৈরি ফরমা ও ৭ লাখ ৪১ হাজার জালটাকা ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। জাল টাকা ছাপানো চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, জালটাকা তৈরি করা ওই সদস্যরা ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জালটাকা ছাপাতে ব্যস্ত। তারা অসহায়, সরল-সহজ প্রকৃতির মানুষদের টার্গেট করে। এ চক্রের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই জড়িত।
