Uncategorized

শিশুছাত্রীকে ৩ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ দাদা-শ্যালকের বিরুদ্ধে

বগুড়ার শাজাহানপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) গত তিন মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা খোকা মিয়া (৫৫) ও তার শ্যালক আবদুস সামাদকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা শাজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন। এর আগে গ্রামের মাতবররা সোমবার মধ্যরাতে গোপনে ভিকটিমের বাড়ির পাশে উঠানে সালিশ বৈঠকে বসলেও সুরাহা হয়নি। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্ত সামাদের বাড়ির পেছনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কলেজছাত্র মনিরুল ইসলাম জয়সহ অনেকে জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা খুঁটি কারখানার শ্রমিক। প্রতিবেশী এক নারী ঘর করে তাদের থাকতে দিয়েছেন। আপন দাদা খোকা মিয়া ও তার শ্যালক আবদুস সামাদ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতেন। সম্প্রতি অসহ্য হয়ে ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা সহপাঠী ও প্রতিবেশীদের বলে দেয়। এ নিয়ে গ্রামের মাতবররা সোমবার রাত ১১টার দিকে গোপনে ছাত্রীর বাড়ি পাশে উঠানে বৈঠকে বসেন। সেখানে ভিকটিমসহ দুই পরিবারকে উপস্থিত করা হয়। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মাতবররা।

মাদলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনা সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করা অপরাধ। তিনি শুধু ঘটনাটি জানার চেষ্টা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটি ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিল না।

ওই ওয়ার্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান জানান, শিশুটির সঙ্গে জঘন্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

শাজাহানপুর থানার এসআই জাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে মাদলা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুটির দাদা খোকা মিয়া ও তার শ্যালক আবদুস সামাদকে গ্রেফতার ও ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Back to top button