সিলেট সিটিতে আওয়ামী লীগবিরোধী ভোটে নজর দুই প্রার্থীর

বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের অনুসারী ভোটাররা যদি কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট দিতে কেন্দ্রে যান, তাহলে নৌকা প্রতীকে তাঁরা কোনোভাবেই ভোট দেবেন না। সে ক্ষেত্রে যাঁকে ভোট দিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলা সম্ভব হবে, তাঁর দিকেই তাঁরা ঝুঁকবেন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুবিধা পেতে পারেন। কারণ, বিএনপি-জামায়াতের ভোট দেওয়ার মতো এখানে সমমনা বিকল্প কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নেই।
যদিও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সরকারবিরোধী বলয়ের ভোট তাঁর পক্ষেই আসবে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগ তো একই ঘরানার। জাতীয় পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেওয়া। প্রার্থীর কিছু জনভিত্তি থাকা দরকার, রাজনৈতিক ভিত্তি থাকা দরকার, সবকিছু মিলিয়েই ভোটাররা ভোট দেবেন। মেয়র আরিফুল সাহেব নির্বাচনে থাকলে ভিন্ন কথা ছিল। যেহেতু তিনি নেই, তাই তাঁর ভোট আমার দিকেই ফোকাস হবে বলে মনে করছি।’
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যদি বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররা আমাকে যোগ্য মনে করেন এবং ভালোবাসেন, তাহলে নিশ্চয়ই তাঁরা আমাকে ভোট দেবেন। আমি মনে করি, এ নগরের সঠিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দলমত-নির্বিশেষে ভোটাররা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেবেন।’