ধর্ষণ করে ২০ বছর ছদ্মবেশে ছিলেন তিনি

জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ২০ বছর ছদ্মবেশে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না অপহরণসহ শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল হামিদের (৪০)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪-এর একটি দল ৩০ মে রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করতে জেলার পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আব্দুল হামিদ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-১৪-এর সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা জানান, আ. হামিদ ভিকটিমের বড় বোনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছর পর হামিদ তার শ্যালিকাকে ২০০৩ সালের ৪ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন দিন আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই স্কুলছাত্রীকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে হামিদ বাড়িতে চলে আসে।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রী স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তার বাড়িতে এসে বিষয়টি জানায়। এরপর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে জামাতা আব্দুল হামিদকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল হামিদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সে তার আসল নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্রে ছদ্মনাম ধারণ করে ২০ বছর ধরে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় বসবাস করেন।
অপরদিকে নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১২ সালে পলাতক আ. হামিদকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপহরণ মামলায় আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।