ইরানের আসেফ মিজাইল যে কারণে আলোচনায়

ইরানের আসেফ মিজাইল যে কারণে আলোচনায়
সামরিক খাতে ড্রোন শিল্পে ইরানের উন্নতি সম্প্রতি পুরো পৃথিবীর নজর কেড়েছে।
আর ভয় জাগিয়েছে আমেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলোর মাঝে. গত ফেব্রুয়ারী মাসে ইরান তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার মিসাইল. আসেফকে সামনে এনেছে।
বলা হচ্ছে এক হাজার থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের এই আসাফ মিসাইল রাশিয়ান যুদ্ধ বিমান সুখই এস ইউ টোয়েন্টি ফোরের সঙ্গে যুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে. ইউক্রীন ফ্রন্টে যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও নেইট ও দেশগুলো ঘাম ঝরানো যুদ্ধে ব্যস্ত তখন রাশিয়ার ফাইটার প্ল্যানের সঙ্গে ইরানি মিসাইলের খবর পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
তবে আসেফ মিসাইল নিয়ে এরা নিজে যে তথ্যটি জোরে সরে প্রচার করছে সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ. ভাঁজ ফেলেছে ইজরায়েল আমেরিকার কপালে. এই মিসাইল ইসরাইল রাষ্ট্রের যেকোনো অংশে আঘাত করতে সক্ষম. সৌদি আরবেরও অনেক অঞ্চল আসাফের রেঞ্জের ভেতরে আছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
আসাফ কুইজ মিসাইল প্রতিপক্ষের সুরক্ষা ভেদ করে যেকোনো শক্তিশালী সামরিক বহর এবং অবকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম. ক্ষেপণাস্ত্রটির এয়ার ফ্রেমের সঙ্গে সোভিয়াত আমলের রাদুকাকে এইচ ফিফটি ফাইভ এয়ার ফায়ার ক্রুজ মিসাইলের মিল রয়েছে।
এর আগেও ইরান নিউক্লিয়ার ওয়ার হেড বহনে সক্ষম রাশিয়ান এই মিসাইলের এয়ার ফ্রেম অনুসরণ করে মিসাইল তৈরি করেছে. সেগুলোর মধ্যে সোমার হোভিজে এবং আবু মাহাদি উল্লেখযোগ্য।
সোমবার হলো ভূমি থেকে ছোড়া যায় এমন মিসাইল যা রেঞ্জ আড়াই হাজার কিলোমিটার বলে দাবি করে ইরান. সুখই এসইউ টোয়েন্টি ফোর বাম্বার প্ল্যান এ একসাথে দুটি আসুট মিসাইল বহন করা যাবে. এই যুদ্ধ বিমানের কমব্যাট রেডিয়াস পাঁচশো কিলোমিটার. এটি আমলে নিলে দেখা যাচ্ছে আসেফ দিয়ে।
দুই হাজার কিলোমিটার দূরের টার্গেটেও আঘাত করা সম্ভব হবে. গত ফেব্রুয়ারিতে ইরান তার প্রথম ভূগর্ভস্থ বিমানঘাটের উদ্বোধনের সময় মিসাইলটি প্রদর্শন করে
আসেফর ব্যাপারে Institute of International and estrate studies IISS জানিয়েছে রাজুগাকে এইচ ফিফটি ফাইভের এয়ার ফ্রেম বানাতে পারলেও ইরান এখনো মিসাইলটির টার্বো ফ্যান ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি
তাই আসেফর সম্ভবত ইরানি টার্বো ফ্যান ইঞ্জিনই ব্যবহার করা হয়েছে. দূরপাল্লার মিসাইল তৈরিতে গত কয়েক বছরে সাফল্য দেখিয়েছে ইরান. দৃষ্টির হাতে নাকি নানা ধরনের
তিন হাজার balance টি ক্ষেপন অস্ত্র রয়েছে. ধারণা করা হচ্ছে দেশটি এবার high personic মিসাইল development এ মন দেবে. তবে এমন খবরও শোনা যাচ্ছে যে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের কারণে দেশটি ইরানকে হাইপারসোনি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সহায়তা দিয়েছে.