বাবার হাতে মেয়ে খুন কারন প্রেম করে বিয়ে করায়, আসামি হলো জামাই

বাবার হাতে মেয়ে খুন কারন প্রেম করে বিয়ে করায়, আসামি হলো জামাই
নিজ মেয়েকে খুন করে উল্টো খুনের মামলা করলেন মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধেই. এবার সেই মামলায় নিজেই ধরা পড়লেন PBI এর জালে. আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতেও মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস.
খুনের কারন
প্রেম করে সবার অমতে বিয়ে করাই কাল হলো টাঙ্গাইলের কালী হাতির কুদ্দুসের মেয়ে পারুল আক্তারের. PBI কার্যালয়ে মেয়ের ছবি সামনে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আব্দুল কুদ্দুস. অথচ সাড়ে সাত বছর আগে বন্ধুর সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আদালতে.
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সবশেষ তদন্ত করে PBI. তদন্ত দলের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন হত্যায় সহযোগিতাকারী কুদ্দুসের বন্ধু মোকাদ্দিস মণ্ডল. নিজের পাঁচ লাখ টাকা দেই. হ্যাঁ দুজনে ছিলাম.
PBI কর্মকর্তারা জানান
রোববার এক briefing এ PBI কর্মকর্তারা জানান দুহাজার বারো সালে ভালোবেসে প্রতিবেশী নাসিরুদ্দিনকে বিয়ে করেন পারুল আখতার. এরপর ঢাকায় অসুলিয়ায় বসবাস শুরু করেছিলেন তারা. তবে ওই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি বাবা আব্দুল কুদ্দুস. এ নিয়ে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেন তিনি.
খুব রাগ হয় যে মেয়ের কারণে করতে চাইছিলেন যে মেয়ে তার এত বড় ক্ষতি করলো, তার মান ইজ্জত গেলো. এই মেয়েকে আসলে তার যেহেতু সম্মান ক্ষুন্ন করছেন. এই মেয়ের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নাই.
দুইজনকে পরে দুহাজার পনেরো সালের আঠারোই জুলাই কৌশলে মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নেন কুদ্দুস. পরদিন বন্ধু মোকাদ্দেসকে সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে রওনা দেন তারা. পথে পাঁচ বিবি এলাকায় নদীর ধারে মেয়েকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে বাবা ও তার বন্ধু.
এই ঘটনায় মেয়ের জামাই নাসিরের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা ও কুদ্দুস সবকটিতে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেও নারাজি দেন পারুলের বাবা. পরে আদালতের নির্দেশে আরেকটি মামলায় তদন্তকালে এ হত্যাকাণ্ডে বাবা কুদ্দুসের সংশ্লিষ্টতা পায় PBI.
হত্যাকান্ডের মূল কারন
সাত বছর ধরে এই মামলা চালাতে সে বহু খরচ করেছে. কেন করলেন জানতে চাইলে? তখন বলছে যে আমার নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করেছেন. মূলত নষ্ট করেছে আমার মেয়ে এবং নাসির. সুতরাং নাসিরকে যদি ফাঁসিতে না চরানো যায় তাহলে তো আমার নিজের মনের শান্তি হবে না. তো নিজের মনের শান্তির জন্যই এই মামলা করেছেন. এই মামলা করতে করতে এই মামলাই তাকে নিয়ে এসেছে এই জেলখানায়.
তাকে খুনি হিসেবে ধরার মূল কারন
মূলত একটি মোবাইল ফোনের শেষ দুই সংখ্যার সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডে আব্দুল কুদ্দুসে জড়িত বলে নিশ্চিত হয় তদন্ত সংস্থা.