Bangladesh

এই শীতে উড়ে আসা অতিথি পাখি দেখলেই বন্দুক তাক করছে শিকারী

এই শীতে উড়ে আসা অতিথি পাখি দেখলেই বন্দুক তাক করছে শিকারী

এসেছে হাজারো অতিথি পাখি. তাই রাজের পুঠিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাকে অতিথি পাখির পল্লী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে. কিন্তু শিকারিদের হাত থেকে নিষ্কৃতি মিলছে না তাদের. বন্দুক আর ফাঁদ পেতে মারা হচ্ছে অতিথি পাখি. এলাকাবাসীর অভিযোগ এদের বেশিরভাগই এলাকার প্রভাবশালী সৌখিন পাখি শিকারি হওয়ায় বাধা দিয়েও কাজ হয় না.

এ যেন পাখিদের রাজ্য. উঠিয়ার সিলমারিয়া নন্দনপুর, পচা মারিয়া, ফুলবাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় হাজারো পাখির পদচারণা. আর কলকা কলির টানে ছুটে আসে মানুষ. কিন্তু শিকারিদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শীতের আশ্রয় খুঁজতে আসা অতিথি পাখিরা. বন্দুক হাতে প্রকাশ্যেই ব্যস্ত তারা পাখি শিকারে.

এভাবে শিকার অব্যাহত থাকলে আগামীতে পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এলাকাবাসীর. রাত্রে মারে দিনেও হয়তো এক এক দিন আসে. বেলা আসে আইসে ওই থাকে থেকে মারে বন্দুক দিয়ে মারে. বারণ করলো শোনে না তো. বিভিন্ন জায়গার মানুষ আসে.

তারা ইয়া গুলি করে ইয়া পাখি মারে. এতে আমাদের যে পাখিদের কাছে সৌন্দর্য. এটা আমাদের নষ্ট করছে. বাইরে থেকে আসা মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় অনেকে পাখি শিকারে ব্যস্ত. তাদের বারণ করলে উল্টো হুমকির মুখে পড়ছে এলাকাবাসী.

এখন দেখে যে মানুষ আশপাশে কেউ নাই, দুপুরবেলা আসে পাখি মারে. নিয়ে চলে যায়. মানা করলেও মানা শোনে না. এই পাখিদের সারা কাঁধে গাছ ভরি আটে না. সেদিন মারিছে আপনার চারজনে চারটি পাইছে. বলার জন্য বইলা আবার আমারে হুমকি দেয়.

এই শীতে উড়ে আসা অতিথি পাখি দেখলেই বন্দুক তাক করছে শিকারী
এই শীতে উড়ে আসা অতিথি পাখি দেখলেই বন্দুক তাক করছে শিকারী

প্রশাসন বলছে পাখি নিধনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দেওয়া হবে শাস্তি. অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে অনেকেই বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করে. অনেকেই কিছু লোকাল যে শটগান যেগুলো আছে সেগুলো ব্যবহার করে. আমাদের নজরে যখনই আসে আমরা চেষ্টা করি সেগুলোকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করেন.

প্রায় দুই দশক আগে পচা মারিয়া গ্রাম দিয়ে এই অঞ্চলে অতিথি পাখিদের বিচরণ শুরু হয়. পরবর্তীতে পুঠিয়ার বিভিন্ন গ্রামে গড়ে ওঠে তাদের নিবাস.

Related Articles

Back to top button